top of page

সায়নী সাহা



ঋণ


চেনা ডাকনাম, কেনা থাকনা, যদি পথ যায় রোজ থমকে

যদি ভুলচুক, হয় দলছুট ,তবে দোষ দিবি কি মনকে?


কিছু গন্ধে, যায় মন ধেয়ে,  তবু আক্ষেপ দেয় পিছুটান

বুকে বর্ষায়, পাই তোর সায়, জানি বদলাই তাতে কিছুটা।


চেনা কণ্ঠে, পায় মন টের, কত সুখ এলো না দুঃখ?

তবু সংলাপ, করে শম লাভ, মুছে ফেলে তার খুব ক্ষোভ।


  ওরে শোন মেয়ে, পরজন্মে, চেয়ে নিস ঠিকই জ্যোৎস্না

ছোঁয়া প্রান্তর, ডেকে নাম তোর, বলে অন্যের তুই হোস না। 


নেই নিস্তার, এক দিস্তা পথে লিখে চলি সব মিথ্যে

জানা গল্পে, সুখ তল পেয়ে, মোরা ফিরে আসি এক বৃত্তে।

 

কিছু সন্ধি গৃহবন্দী, খোঁজে জানলার ফাঁক রত্তি, 

কেউ দিচ্ছে গাঢ় বিচ্ছেদ, তাই কুয়াশায় চোখ ভর্তি। 


ফিকে হইনি তবু দৈনিক, মেখে চলেছি প্রিয় রঙ নীল, 

আশা হন্যে, মন অরণ্যে দেখি অভিমানেরা জংলী। 


যেটা বর্বর, হারানোর পর বাড়ে সময়ের চেয়েও মূল্য–

তাই বর্ষা, ভরা তোর্সায় বুঝি পাহাড়ের ধসও ভুললো। 


বিয়োগের স্বর অবিনশ্বর, ভেদ করেনা তো অন্তর, 

ওরা থাকলো, কিবা পাক লোপ, তবু মুছে যাক শত ভ্রান্ত। 


আজও কল্পক ভেবে অল্প, যদি সুখগুলো ঠিক চিনতো, 

ভারী দুঃখ হয়ে সূক্ষ, আর বাড়তো না মন ঋণ তোর।

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating
bottom of page