ইতিহাসের পাতায় চন্দননগরের বসুবাড়ির পুজো
- SABDOSANKO
- Sep 9, 2024
- 1 min read

জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত। অস্তিত্ব সংকটে যৌথ পরিবার। তবু তারই মাঝে ব্যতিক্রমী চন্দননগরের বসু বাড়ি। জৌলুস হারালেও হুগলির এই বনেদি বাড়ির পুজোয় উৎসাহ, উদ্দীপনায় ভাঁটা পড়েনি। ৫১৬ বছর ধরে আজও রীতি মেনে চলছে পুজোর আয়োজন।

প্রাচীন রীতি মেনেই জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজো হয়। বংশ পরম্পরায় পাঁচু গোপাল পালের বংশধররাই আদি ডাকের সাজের এক চালার প্রতিমা নির্মাণ করেন। অতীতে পুজোয় ছাগল বলির প্রথা ছিল। এখন বলি প্রথা আর নেই। প্রাচীন রীতি মেনে প্রত্যেকদিন প্রতিমাকে অন্ন ভোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় নানা মিষ্টি-সহ লুচি ভোগ দেওয়া হয়। ওই পরিবারের সদস্যরা জানান, এখনও প্রাচীন রীতি মেনেই মহানবমীতে অন্নভোগ দর্শনার্থী ও গ্রামের মানুষদের বিতরণ করা হয়। দশমীতে কাঁধে করে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।

চন্দননগরের বসু বাড়িতে যথেষ্ট ঘটা করে দোল উৎসব হত। বাড়ির সংলগ্ন মাঠে দোল উৎসব ঘিরে বসত মেলা। ১৫ দিনের ওই মেলায় ভিড় জমাতেন অনেকেই। বর্তমানে বোস পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই কর্মসূত্রে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেন। কিন্তু পুজোর দিনগুলিতে তাঁদের সকলেই আদি বাড়ির উৎসবে যোগ দেন। গল্পগুজব, হাসিঠাট্টায় ভরে উঠবে বনেদি বাড়ি।
প্রাবন্ধিক - রক্তিমা করাতি
Comments